একজিমা দূর করার চমকপ্রদ উপায়

একজিমা দূর করার চমকপ্রদ উপায়



●একজিমা কি?

একজিমা এক প্রকার চর্মরোগ। এই চর্মরোগটি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে পরিচিত।যারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল পামা, বিখাউজ, কাউর ঘা ইত্যাদি।এই অ্যাকজিমা জেনেটিক ভাবে হয়ে থাকে। এই একজিমা যেখানে হয় স্থান লালাভ দেখায়, এখানে পুঁজবটী জন্মে, চুলকায়, রস ক্ষরণ হতে পারে এবং মামড়ি পড়ে। একজিমা ঠিক কি কারণে হয়ে থাকে এখনো জানা যায়নি।একজিমার ঔষধ এখন আবিষ্কৃত হয় নি,তবে Emollients And steroid ointments একজিমাকে নিয়ন্ত্রনে রাখে।

●একজিমায় করনিও!

একজিমা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশকিছু ক্রিম রয়েছে।কোন কোন কাজগুলো করলে আপনার একজিমা বেড়ে যাচ্ছে সেটি একটি জায়গায় নোট করুন এবং পরবর্তীতে ওই কাজগুলো থেকে বিরত থাকুন।আপনার একজিমার চুলকানি বাড়লে চেষ্টা করুন নিজেকে সামলাতে। তা না হলে একজিমা আরও বাড়বে এবং আপনার আক্রান্ত ত্বক শক্ত হয়ে যাবে। এজন্যে শিশুদের ক্ষেত্রে কাপড়ের দস্তানা পরিয়ে রাখতে পারেন। আর বড়দের ক্ষেত্রে নখ সব সময় ছোট এবং পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং না চুলকিয়ে আঙ্গুলের মাথা দিয়ে আস্তে উপরে ঘষুন।

●ওষুধ!

একজিমা সারানোর জন্য প্রকৃত ঔষধ হচ্ছে সিমের পাতা।সিমের পাতা পেষ্ট করে একজিমার উপরে লাগালে খুব তাড়াতাড়ি এটি ঠিক হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন সিমের পাতা পেষ্ট করার পূর্বে বা লাগানোর পূর্বে একজিমা যে স্থানে হয়েছে ওই স্থানে লবণ পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। অবশ্যই লবণ পানি দিয়ে পরিষ্কার করার পর ভালোভাবে মুছে নিবেন তারপর সিমের পাতার পেস্ট লাগাবেন।লবণ পানি ও অনেক উপকারী একজিমার অসুখটি সারানোর জন্য।আপনার একজিমা খুব বেশি বাড়লে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন, ডাক্তার যদি স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করতে বলেন তাহলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করবেন।

●কিছু কথা

উপরোক্ত কথাগুলো যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন আশা করি বুঝতে পারছেন একজিমা কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।অবশ্যই একটা জিনিস মাথায় রাখবেন ডাক্তারের পরামর্শ মত সবকিছু করবেন।একজিমা খুবই বিপদজনক একটি রোগ সাবধানতার সহিত থাকবেন সব সময় এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাবেন।ওষুধ আর মলম ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহার করবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ