"আসসালামু আলাইকুম"
হস্তমৈথুন এই শব্দের সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। একটা গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৮০% মানুষ হস্তমৈথন কমবেশি করে। যারাই হস্তমৈথুন করে থাকে,তারা চায় এই হস্তমেথুন থেকে মুক্তি পেতে?কি করলে হস্তমৈথুন ছাড়া যাবে?কি করলে আর হস্তমৈথুন করা লাগবে না? অনেকের অনেক প্রশ্ন থাকে! হস্তমৈথুন এমন একটা অভ্যাস যেটা একবার ধরলে আর ছাড়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা।ছাড়তে গেলে অনেক কষ্ট হয় অনেক সময় লাগে। তো বন্ধুরা আজকে আমি আলোচনা করব হস্তমৈথুন করলে আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় কোন ক্ষতি গুলো হয়ে থাকে! নিন্মে ৬টি হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরা হলো।১/ অতিরিক্ত মাত্রায় হস্তমৈথুন করার ফলে মানুষের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে থাকে পরবর্তী সময়ে যেটি অনেক বড় এবং জটিল একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
২/ হস্তমৈথুন যারা করে তারা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। পর্নোগ্রাফির জন্য মানুষ হস্তমৈথুনের দিকে আসক্ত হয়ে পরে আবার হস্তমৈথুন পর্নোগ্রাফিক জন্য আসক্ত হয়ে পড়েন। এবং পর্নোগ্রাফি দেখে দেখে হস্তমৈথুন করার ফলে আপনার যৌনশক্তি হ্রাস পেতে থাকে যেটি ভবিষ্যতের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।
৩/ অতিরিক্ত মাত্রায় হস্তমৈথুন করার ফলে শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে যেটি মানুষকে সব সময় ক্লান্তি অবস্থায় দেখায়। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা সবচেয়ে বেশি এগুলো করে থাকে। এই বয়সটা মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই সময়ে অতিরিক্ত মাত্রায় হস্তমৈথুন করলে শরীরে বিকাশ ঘটানোর জন্য বাধাপ্রাপ্ত হয়।
৪/ অতিরিক্ত মাত্রায় হস্তমৈথুন করার ফলে মানুষের চিন্তা শক্তি কমে যায়।এতে করে কোন কিছুই সঠিকভাবে মনে থাকেনা। বিশেষ করে যারা পড়াশোনা করে তাদের জন্য খুবই বিপদজনক সিগন্যাল এটি।
৫/ কাজের প্রতি অনীহা সৃষ্টি করার জন্য অনেক বড় একটা ভূমিকা পালন করে এই হস্তমৈথুন। কোন কাজে মন বসে না এবং মন বসাতে গেলে ক্লান্ত হয়ে পড়ি শরীর।তাই আর কাজ করতে ইচ্ছা করে না।
৬/ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে মানুষ ধীরে ধীরে ডিপ্রেশন এর মধ্যে চলে যায়।
হস্তমৈথুন করলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়।তবে হস্তমেথুন ১ বা ২ দিনে ছাড়া সহজ নয়।ধীরে ধীরে আপনাকে এটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পর্নোগ্রাফি দেখা কমিয়ে দিতে হবে।মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকতে হবে।তাহলে এটি আপনাকে আর আসক্ত করতে পারবেনা। সবসময় মানুষের সাথে থাকবেন।বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটাবেন।নিজেকে কখনো একা রাখবেন না। তাহলে আপনি আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন।ইনশাআল্লাহ।
0 মন্তব্যসমূহ