নিয়মিত কিসমিস খাওয়া শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারি? অনেকেই ভাবে কিসমিস বেশি পরিমাণ খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তবে জানেন কি কিসমিসকে শুকনো ফলের রাজা বলা হয়। এই বাদামী রঙের ফলটি শরীরের পুষ্টি এবং শক্তির জন্য খুব ই উপকারি। কিসমিসের উপকারিতা আমরা অনেকেই জানি না। বলা হয়ে থাকে হার্টের জন্য এটি খুব উপকারি। এছাড়াও এর মধ্যে ভিন্ন ধরণের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে আর দেরী না করে, আর্টিকেলটি শুরু করি। আর্টিকেলটি শুরু করার আগে, আপনাদের সকলের উপকারের উদ্দেশ্যে সুন্দর সুন্দর স্বাস্থ্য উপকারি টিপস নিয়ে আমি আর্টিকেল আপলোড করি আমার ব্লগে।চলুন তাহলে তাহলে আর্টিকেল শুরু করিঃ
১. হজমের সমস্যা দূর করে দেয় কিসমিসঃ
যদি কোন ব্যক্তির বদহজমের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত তার খাবারে কিসমিস যোগ করা উচিত। কিসমিসে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম দুই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলি একসঙ্গে বদহজমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। তাই হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিনিয়ম কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।
২. মুখের স্বাস্থ্যের জন্য কিসমিসের উপকারিতাঃ
কিসমিস এর ব্যাপারে অনেকের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, কিসমিস মিষ্টি হওয়ার কারণে এটি দাঁতের জন্য খুব খারাপ। অনেকে আবার ভেবে থাকেন অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খেলে দাঁতে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে এবং দাঁত এর মাড়ী দুর্বল হয়ে যায়। আসলে এই ধারণাটি ভুল। আপনি কি জানেন কিসমিসে একধরণের অ্যাসিড রয়েছে যা দাঁতের জন্য খুব উপকারি। যা দাঁতে ব্যাকটেরিয়া রোধ করে। তাই কিসমিস খেলে দাতের ক্ষতি তহ হয় ই না, উলটো দাতের উপকার হয়ে থাকে।
৩. কোলেস্টেরল কমায় কিসমিসঃ
আপনি কি জানেন কিসমিস কোলেস্টেরল মুক্ত। কিসমিসে দ্রবণীয় ফাইবার খুব উচ্চ পরিমাণ থাকে। এই দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে। এছাড়াও কিসমিসে পলিফেলন এনজাইমকে দমন করে যা কোলেস্টেরলের জন্য দায়ী। তাই আপনার শরীরে যদি কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে প্রতিদিন কিসমিস খান।
৪. কিসমিস চোখের জন্যে অনেক বেশি উপকারিঃ
কিসমিস ভিটামিন এ, এ-বিটা ক্যারোটিন এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রেডিকেলস সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে। তাই চোখের যত্নে কিসমিস খুব ই উপকারি।
৫. অ্যানিমিয়া দূর করে কিসমিসঃ
কিসমিসে আয়রন যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে যা অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা কমাতে সহায়তা করে। কিসমিস নতুন রক্ত গঠন করে এবং দেহের ভিটামিন বি অভাব পূরণ করে। তাই যাদের শরীরে রক্ত কম, তাদের নিয়মিত কিসমিস খাওয়া উচিত।
৬. ওজন বাড়াতে সাহায্য করে কিসমিসঃ
আপনি যদি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে কিসমিস আপনাকে সহায়তা করতে পারে। কারণ কিসমিস ওজন বাড়াতে সহায়তা করার পাশাপাশি দেহে এনার্জি বৃদ্ধি করে। তাই আপনি নিজের ওজন বাড়ানোর জন্য আজ থেকে নিয়মিত কিসমিস খাওয়া শুরু করে দিন।
৭. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কিসমিসঃ
ক্যান্সার কোষের বিকাশের একটি প্রাথমিক কারণ ফ্রি রেডিকেলস। কিসমিসে উপস্থিত অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলস নষ্ট করে ক্যান্সারের কোষকে বৃদ্ধি হতে বাঁধা দেয়। তাই প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস আপনার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি কমিয়ে দেয়।
৮. কিসমিস হাড় শক্তশালী ও মজবুত করেঃ
ক্যালসিয়ামের একটি উৎস হওয়ার কারণে কিসমিস খাওয়ার ফলে হাড় এবং দাঁত শক্তিশালী হয়। এছাড়াও কিসমিসে বোরন নামক এক উপাদান রয়েছে যা ক্যালসিয়াম শোষণ করে হাড় গঠনে সহায়তা করে।
৯. কিসমিস পাচন তন্ত্রের জন্য উপকারিঃ
কিসমিস পাচন তন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারি। কিসমিসে উপস্থিত ফাইবার দেহের বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি দেখার পর থেকে, আপনি প্রতিনিয়ত কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস গ্রহণ করবেন। কারণ কিসমিস খেলে আপনার শরীরের অনেক উপকার সাধন হবে, যা আপনার শরীরের জন্যে খুব ই উপকারি।আজ তাহলে এই টুকুই থাক, দেখা হবে পরের কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপসএ। আল্লাহ হাফেজ।
0 মন্তব্যসমূহ